হরিণী

হে হরিণী,
আকাশ লইবে জিনি
কেন তব এ অধ্যবসায়?
সুদূরের অভ্রপটে অগম্যেরে দেখা যায়,
কালো চোখে পড়ে তার স্বপ্নরূপ লিখা;
একি মরীচিকা,
পিপাসার স্বরচিত মোহ,
একি আপনার সাথে আপন বিদ্রোহ?
নিজের দুঃসহ সঙ্গ হতে
ছুটে যেতে চাও কোনো নূতন আলোতে-
নিকটের সংকীর্ণতা করি ছেদ,
দিগন্তের নব নব যবনিকা করি দিয়া ভেদ।
আছ বিচ্ছেদের পারে;
যারে তুমি জানো নাই, রক্তে তুমি চিনিয়াছ যারে,
সে যে ডাক দিয়ে গেছে যুগে যুগে যত হরিণীরে
বনে মাঠে গিরিতটে নদীতীরে-
জানায়েছে অপূর্ব বারতা
কত শত বসন্তের আত্মবিহ্বলতা।

তারই লাগি বিশ্বভোলা মহা-অভিসার
হয়েছে দুর্বার,
অদৃশ্যেরে সন্ধানের তরে
দাঁড়ায়েছ স্পর্ধাভরে,
একান্ত উৎসুক তব প্রাণ
আকাশেরে করে ঘ্রাণ-
কর্ণ করিয়াছে খাড়া,
বাতাসে বাতাসে আজি অশ্রুত বাণীর পায় সাড়া।

১ অগস্ট, ১৯৩২