যুগল পাখি

স্বপ্নগগন পথের চিহ্ন-হীন
সেথা ছিলে একদিন,
বিরহাবেগের উধাও মেঘের
সজল বাষ্পে লীন।
বহিল সহসা নববস্নত-বায়,
এক দিগন্তে আনিল দোঁহারে
এক নব বেদনায়।

সেদিন ফাগুন আম্রমুকুলে ভরি
উড়ায়েছে উত্তরী,
গন্ধে-রসানো ঘোমটা-খসানো
পূর্ণিমা বিভাবরী।
সেদিন গগন মুখর বাঁশির গানে,
ধরণীর হিয়া ধায় উদাসিয়া
অভিসার-পথ-পানে।

অসীম শুন্যে সন্ধান গেল থেমে,
এলে বনতলে নেমে।
চঞ্চল পাখা মানিল বিরাম
সীমার মোহন প্রেমে।
লভিল শান্তি তৃপ্তিবিহীন আশা,
শ্যামল ধরার বক্ষের কাছে
রচিলে নিভৃত বাসা।

বাণীর ব্যথায় উচ্ছ্বাসিত এক পাখি
গেয়ে ওঠো থাকি থাকি।
ডানা ‘পরে মুখ রাখি।
অধীরের সুর লভিল আকাশ
ধীর নীরবের প্রাণে।

ফাল্গুন ১৩৪০