মালিনী

হাসি-মুখ নিয়ে যায় ঘরে ঘরে,
সখীদের অবকাশ মধু দিয়ে ভরে।
প্রসন্নতা তা’র অন্তহীন
রাত্রিদিন
গভীর কী উৎস হ’তে
উচ্ছলিছে আলো-ঝলা কথা-বলা স্রোতে।
মর্ত্ত্যের ম্লানতা তা’রে
পারেনি তো স্পর্শ করিবারে।
প্রভাতে সে দেখা দিলে মনে হয় যেন সূর্য্যমুখী
রক্তারুণ উল্লাসে কৌতুকী।
মধ্যাহ্নের স্থলপদ্ম অমলিন রাগে
প্রফুল্ল সে সূর্য্যের সোহাগে,
সায়াহ্নের জুঁই সে-যে,
গন্ধে যার প্রদোষের শূন্যতায় বাঁশি ওঠে বেজে।
মৈত্রী-সুধাময় চোখে
মাধুরী মিশায়ে দেয় সন্ধ্যা-দীপালোকে।
রজনীগন্ধা সে রাতে, দেয় পরকাশি’
আনন্দ-হিল্লোল রাশি রাশি;
সঙ্গহীন আঁধারের নৈরাশ্যক্ষালিনী,-
-নাম কি মালিনী?