নিধু বলে আড়চোখে


নিধু বলে আড়চোখে, “কুছ্ নেই পরোয়া”,-
স্ত্রী দিলে গলায় দড়ি বলে, “এটা ঘরোয়া”
দারোগাকে হেসে কয়,
“খবরটা দিতে হয়”,-
পুলিস যখন করে ঘরে এসে চড়োয়া।
বলে, “চরণের রেণু
নাহি চাহিতেই পেনু”,
-এই ব’লে নিধিরাম করে পায়ে-ধরোয়া।।


নিধু বাঁকা ক’রে ঘাড় ওড়নাটা উড়িয়ে,
বলে, “মোর পাকা হাড়, যাব নাকো বুড়িয়ে।
যে যা খুসি করুক্ না,
মারুক্ না, ধরুক্ না,
তাকিয়াতে দিয়ে ঠেস দেব সব তুড়িয়ে।”
গালি তারে দিল লোকে
হাসে নিধু আড়চোখে,
বলে,- “দাদা, আরো বলো, কান গেল জুড়িয়ে।।”


পিসে হয় কুলদার, ভুলুদার কাকা সে,
আড়চোখে হাসে, আর করে ঘাড় বাঁকা সে।
যবে গিয়ে শালিখায়
সাহেবের গালি খায়,
“কেয়ার করিনে”- ব’লে তুড়ি মারে আকাশে।।
যেদিন ফয়জাবাদে
পত্নী ফুঁপিয়ে কাঁদে,
“তবে আসি”- ব’লে হাসি চলে যায় ঢাকা সে।।