ওরে পদ্মা, ওরে মোর রাক্ষসী প্রেয়সী

ওরে পদ্মা, ওরে মোর রাক্ষসী প্রেয়সী,
লুব্ধ বাহু বাড়াইয়া উচ্ছ্বসি উল্লাসি
আমারে কি পেতে চাস চির-আলিঙ্গনে?
শুধু এক মুহূর্তের উন্মত্ত মিলনে
তোর বক্ষ-মাঝে চাস করিতে বিলয়
আমার বক্ষের যত সুখ দুঃখ ভয়?
আমিও তো কতদিন ভাবিয়াছি মনে
বসি তোর তটোপান্তে প্রশান্ত নির্জনে-
বাহিরে চঞ্চলা তুই প্রমত্তমুখরা,
শানিত অসির মতো ভীষণপ্রখরা,
অন্তরে নিভৃত স্নিগ্ধ শান্ত সুগম্ভীর,
দীপহীন রুদ্ধদ্বার অর্ধরজনীর
বাসরঘরের মতো নিষুপ্ত নির্জন-
সেথা কার তরে পাতা সুচির শয়ন!

চৈত্র-বৈশাখ ১৩০৮-১৩০৯