অভিমানিনী

ও আমার অভিমানী মেয়ে
ওরে কেউ কিছু বোলো না।
ও আমার কাছে এসেছে,
ও আমায় ভালবেসেছে,
ওরে কেউ কিছু বোলো না।

এলোথেলো চুলগুলি ছড়িয়ে
ওই দেখ সে দাঁড়িয়ে রয়েছে;-
নিমেষ-হারা আঁখির পাতা দুটি
চোখের জলে ভ’রে এসেছে।-
গ্রীবাখানি ঈষৎ বাঁকানো
দুটি হাতে মুঠি আছে চাপি,
ছোট ছোট রাঙা রাঙা ঠোঁট
ফুলে ফুলে উঠিতেছে কাঁপি।
সাধিলে ও কথা কবে না,
ডাকিলে ও আসিবে না কাছে;
ও- সবার পরে অভিমান ক’রে
আপ্না নিয়ে দাঁড়িয়ে শুধু আছে।

কি হয়েছে কি হয়েছে বলে
বাতাস এসে চুলগুলি দোলায়;-
রাঙা ওই কপোল খানিতে
রবির হাসি হেসে চুম খায়।-
কচি হাতে ফুল দুখানি ছিল
রাগ করে ঐ ফেলে দিয়েছে,
পায়ের কাছে প’ড়ে প’ড়ে তা’রা
মুখের পানে চেয়ে রয়েছে।

আয় বাছা, তুই কোলে ব’সে বল্
কি কথা তোর বলিবার আছে,
অভিমানে রাঙা মুখখানি
আন্ দেখি তুই এ বুকের কাছে।
ধীরে ধীরে আধ’ আধ’ বল্
কেঁদে কেঁদে ভাঙা ভাঙা কথা,
আমায় যদি না বলিবি তুই
কে শুনিবে শিশু-প্রাণের ব্যথা।