প্রৌঢ়

যৌবন নদীর স্রোতে তীব্র বেগভরে
একদিন ছুটেছিনু; বসন্ত পবন
উঠেছিল উচ্ছ্বসিয়া;- তীর-উপবন
ছেয়েছিল ফুল্লফুলে;- তরুশাখা পরে
গেয়েছিল পিককুল,- আমি ভাল করে’
দেখি নাই শুনি নাই কিছু,- অনুক্ষণ
দুলেছিনু আলোড়িত তরঙ্গ শিখরে
মত্ত সন্তরণে। আজি দিবা অবসানে
সমাপ্ত করিয়া খেলা উঠিয়াছি তীরে
বসিয়াছি আপনার নিভৃত কুটীরে,-
বিচিত্র কল্লোল গীত পশিতেছে কানে,-
কত গন্ধ আসিতেছে সায়াহ্ণ সমীরে;
বিস্মিত নয়ন মেলি হেরি শূন্য পানে
গগনে অনন্তলোক জাগে ধীরে ধীরে।

৭ ফাল্গুন,
১৩০২।