প্রণতি

কত ধৈর্য্য ধরি’
ছিলে কাছে দিবস শর্ব্বরী।
তব পদ-অঙ্কন গুলিরে
কতবার দিয়ে গেছো মোর ভাগ্য-পথের ধূলিরে
আজ যবে
দূরে যেতে হবে
তোমারে করিয়া যাবো দান
তব জয় গান।
কতবার ব্যর্থ আয়োজনে
এ জীবনে
হোমাগ্নি উঠেনি জ্বলি’,
শূন্যে গেছে চলি’
হতাশ্বাস ধূমের কুণ্ডলী।
কতবার ক্ষণিকের শিখা
আঁকিয়াছে ক্ষীণ টীকা
নিশ্চেতন নিশীথের ভালে।
লুপ্ত হ’য়ে গেছে তাহা চিহ্ণহীন কালে
এবার তোমার আগমন
হোম হুতাশন
জ্বেলেছে গৌরবে।
যজ্ঞ মোর ধন্য হবে।
আমার আহুতি দিনশেষে
করিলাম সমর্পণ তোমার উদ্দেশে।
লহো এ প্রণাম
জীবনের পূর্ণ পরিণাম।
এ প্রণতি ‘পরে
স্পর্শ রাখো স্নেহভরে।
তোমার ঐশ্বৰ্য মাঝে
সিংহাসন যেথায় বিরাজে,
করিয়ো আহ্বান,
সেথা এ প্রণতি মোর পায় যেন স্থান।।

আষাঢ়, ১৩৩৫