শুকসারী

শ্রীযুক্ত নন্দলাল বসুর পাহাড়-আঁকা চিত্রপত্রিকার উত্তরে

শুক বলে, গিরিরাজের জগতে প্রাধান্য;
সারী বলে, মেঘমালা, সেই বা কী সামান্য,-
গিরির মাথায় থাকে।
শুক বলে, গিরিরাজের দৃঢ় অচল শিলা;
সারী বলে, “মেঘমালার আদি-অন্তই লীলা,-
বাঁধবে কে-বা তাকে? ”
শুক বলে, “নদীর জলে গিরি ঢালেন প্রাণ”;
সারী বলে, “তার পিছনে মেঘমালার দান,-
তাই তো নদী আছে।”
শুক বলে, “গিরীশ থাকেন গিরিতে দিনরাত্র”;
সারী বলে, “অন্নপূর্ণা ভরেন ভিক্ষাপাত্র,-
সে তো মেঘের কাছে।”

শুক বলে, “হিমাদ্রি যে ভারত করে ধন্য”;
সারী বলে, “মেঘমালা বিশ্বেরে দেয় স্তন্য,-
বাঁচে সকল জন।”
শুক বলে, “সমাধিতে স্তব্ধ গিরির দৃষ্টি”;
সারী বলে, “মেঘমালার নিত্যনূতন সৃষ্টি,-
তাই সে চিরন্তন।”

শিলঙ
৩১ বৈশাখ, ১৩৩৪