শুন সখি বাজত বাঁশি

শুন সখি বাজত বশি।
গভীর রজনী, উজল কুঞ্জপথ,
চাঁদম ডারত হাসি।
দক্ষিণ পবনে কম্পিত তরুগণ,
স্তম্ভিত যমুনা বারি,
কুসুম সুবাস উদাস ভইল, সখি,
উদাস হৃদয় হমারি।
বিগলিত মরম, চরণ খলিত গতি,
সরম ভরম গয়ি দূর,
নয়ন বারি-ভর, গরগর অন্তর,
হৃদয় পুলক-পরিপূর।
কহ সখি, কহ সখি, মিনতি রাখ সখি,
সো কি হমারই শ্যাম।
মধুর কাননে মধুর বাঁশরী
বজায় হমারি নাম!
কত কত যুগ সখি পুণ্য করমু হম,
দেবত করমু ধেয়ান,
তবত মিলল সখি শ্যাম রতন মম,
শ্যাম হমারই প্রাণ।
শ্যাম রে- –
শুনত শুনত তব মোহন বাঁশি
জপত জপত তব নামে,
সাধ ভইল ময় দেহ ডুবায়ব
চাঁদ-উজল যমুনামে!
“চলহ তুরিত গতি শ্যাম চকিত অতি,
ধরহ সখীজন হাত,
নীদ-মগন মহী, ভয় ডর কছু নহি,
ভানু চলে তব সাথ।”

[বেহাগ]