স্পর্ধা

সে আসি কহিল, ‘প্রিয়ে, মুখ তুলি চাও।’
দূষিয়া তাহারে রুষিয়া কহিনু, ‘যাও!’
সখী, ওলো সখী, সত্য করিয়া বলি-
তবু সে গেল না চলি।

দাঁড়ালো সমুখে, কহিনু তাহারে, `সরো।’
ধরিল দু হাত, কহিনু, `আহা, কী কর!’
সখী, ওলো সখী, মিছে না কহিব তোরে-
তবু ছাড়িল না মোরে।

শ্রুতিমূলে মুখ আনিল সে মিছিমিছি-
নয়ন বাঁকায়ে কহিনু তাহারে, `ছি ছি!’
সখী, ওলো সখী, কহিনু শপথ ক’রে-
তবু সে গেল না স’রে।

অধরে কপোল পরশ করিল তবু-
কাঁপিয়া কহিনু, ‘এমন দেখি নি কভু!’
সখী, ওলো সখী, একি তার বিবেচনা-
তবু মুখ ফিরালো না।

আপন মালাটি আমারে পরায়ে দিল-
কহিনু তাহারে, `মালায় কী কাজ ছিল!’
সখী, ওলো সখী, নাহি তার লাজ ভয়-
মিছে তারে অনুনয়।

আমার মালাটি চলিল গলায় লয়ে,
চাহি তার পানে রহিনু অবাক হয়ে।
সখী, ওলো সখী, ভাসিতেছি আঁখিনীরে-
কেন সে এল না ফিরে!