উজ্জীবন

ভস্ম-অপমান শয্যা ছাড়ো, পুষ্পধনু,
রুদ্র-বহ্ণি হ’তে লহো জ্বলদর্চ্চি তনু।
যাহা স্মরণীয় যাক্ ম’রে,
জাগো অবিস্মরণীয় ধ্যানমূর্ত্তি ধ’রে।
যাহা রূঢ়, যাহা মূঢ় তব
যাহা স্থূল, দগ্ধ হোক্, হও নিত্য নব।
মৃত্যু হ’তে জাগো, পুস্পধনু,
হে অতনু, বীরের তনুতে লহো তনু।।

মৃত্যুঞ্জয় তব শিরে মৃত্যু দিলা হানি’,
অমৃত সে-মৃত্যু হ’তে দাও তুমি আনি’।
সেই দিব্য দীপ্যমান দাহ,
উন্মুক্ত করুক্‌ অগ্নি-উৎসের প্রবাহ।
মিলনেরে করুক্ প্রখর
বিচ্ছেদের ক’রে দিক্‌ দুঃসহ সুন্দর।
মৃত্যু হ’তে জাগো, পুষ্পধনু,
হে অতনু বীরের তনুতে লহো তনু।।

দুঃখে সুখে বেদনায় বন্ধুর যে-পথ,
সে-দুর্গমে চলুক্ প্রেমের জয়রথ।
তিমির তোরণে রজনীর
মন্দ্রিবে সে রথচক্র নির্ঘোষ গম্ভীর।
উল্লঙ্ঘিয়া তুচ্ছ লজ্জা ত্রাস
উচ্ছলিবে আত্মহারা উদ্বেল উল্লাস।
মৃত্যু হ’তে ওঠো, পুষ্পধনু,
হে অতনু, বীরের তনুতে লহো তনু।।

ভাদ্র, ১৩৩৬