তোমার বাঁশির সুরে উদাসীন বানাইলায় মোরে রে

তোমার বাঁশির সুরে উদাসীন বানাইলায় মোরে রে;
এগো, বাঁশির সুরে করিয়াছে পাগল রে-
আরে ও প্ৰাণনাথ তোমার বদলে দিয়া যাও বাঁশি।।
আর তোমার বাঁশির সুরে উদাসী করিলা মোরে রে;
এগো, বন্ধের জ্বালায় আইলাম পাগলিনী রে-
আরে ও প্ৰাণনাথ, তোমার বদল দিয়া যাও বাঁশি।।
আর শ্ৰীকৃষ্ণ মথুরায় যাইতে বিদায় মাঙ্গইন রাইয়ার কাছে রে;
এগো নারী অইয়া কেমনে দেই বিদায় রে-
আরে ও প্ৰাণনাথ, তোমার বদলে দিয়া যাও বাঁশি।।
আর তোমার বাঁশির সুরে ভাটিয়াল নদী উজান ধরে রে;
ও আমি যৌবত নারী, কেমন রই পাসরি রে-
আরে ও প্ৰাণনাথ, তোমার বদলে দিয়া যাও বাঁশি৷
আর আমি তো অভাগীর নারী, বন্ধের জ্বালায় কলঙ্কিনী রে;
এগো, বন্ধের জ্বালায় অইলাম অভাগিনী ও-
আরে ও প্ৰাণনাথ, তোমার বদলে দিয়া যাও বাঁশি।।
কিবা মোরে বাঁশি দেও রে; এগো বাঁশির সুরে কইল যে পাগল রে-
আরে ও প্ৰাণনাথ, তোমার বদলে দিয়া যাও বাঁশি।।
কিবা মোরে সঙ্গে নেও কিবা মোরে বাঁশি দেও রে;
ওরে, তোমার সঙ্গে বানাই নিবায় দাসী রে-
আরে ও প্ৰাণনাথ, তোমার বদলে দিয়া যাও বাঁশি।।
আরে ভাইবে রাধারমণ বলে, বাঁশি না অয় লইছে মনে রে;
এগো বাঁশির সুর দি কত পাগল বানাও রে-
আরে ও প্ৰাণনাথ, তোমার বদল দিয়া যাও বাঁশি।।

[পূর্বরাগ]