আকাশ সঙ্গীত

নীল-মধুরিমা-ভরা বিমান,-
কি গুরুগম্ভীরে গাইছে গান!

কাঁপায়ে থরে থরে ধরা-সমার,
নিখিল-প্লাবী সেই ধ্বনি গভীর!
শ্রবণে পশে না কি, নর বধির!
উদাস করে নাকি, ও মন প্রাণ?

বিমান কহে, “আমি শবদ-গুণ,
হৃদয়ে অক্ষয় শকতি-তূণ,
বক্ষে অগণিত শশি-অরুণ,
গ্রহ উপগ্রহ ভ্রাম্যমাণ!

আমারে সৃজি’ ধাতা, কুতূহলে,
তারকা-শিশুগুলি দিল কোলে,
হরষে গলাগলি, শিশুদলে,
করিছে ছুটাছুটি নিরবসান।

আলোভরা তারা, পুলকময়,
জানে না শিশু-হিয়া, ভাবনা ভয়,
ললাট-লিপি তারা, গণিয়া কয়,
(পালে) যতনে জনকের শুভবিধান।
(মম) চরণ-তলে তব সমীর-থর,
জলদ-জাল খেলে শীকর-ধর,
ঊর্দ্ধে প্রসারিয়া শত শিখর,
ঐ বিপুল গিরিকুল স্থির-নয়ান!
নিম্নে চেয়ে দেখি, কৌতুকে,
পক্ষপুট ধীরে মেলি’ সুখে,
অসীম গীত-তৃষা ল’য়ে বুকে,
এ মুক্তি-পাখিকুল, ধরিছে তান!
(মম) অশনি পদতলে, বিজলীদাম,
(ঐ) আলোক-অক্ষরে তাহারি নাম!
(হের) অটল দিক্‌পাল সকল-কাম,
(ধরি’) তাহারি মঙ্গল-জয়-নিশান!
ব্যর্থ কোলাহলে, যাপিছ দিন,
হ’তেছ ধরণীর ধূলি-মলিন;
বচন ধর মম, আমি প্রবীণ,
(লভ) অসীম উদারতা, হও মহান্!”

মিশ্র ইমন্- একতালা।