আশা

ধ’রে তোল, কোথা আছ কে আমার!
একি বিভীষিকাময় অন্ধকার!
কি এক রাক্ষসী মায়া, নয়নমোহন-রূপে,
ভুলায়ে আনিয়া মোরে ফে’লে গেল মহাকূপে!
শ্রমে অবসন্ন কায়, কণ্টক বিঁধিছে তায়,
বৃশ্চিক দংশিছে, অনিবার।
পিপাসায় শুস্ক কণ্ঠ, শরীর কর্দ্দমলীন,
আর যে উঠিতে নারি, হইয়াছি বলহীন;
এ বিপন্ন, পথভ্রান্ত, অন্ধ, দীন, নিরুপায়,
দেখিয়া, কাহারো দয়া হ’লনারে হায় হায়!
হীন-স্বার্থময় ধরা, সুধু নিঠুরতা-ভরা;
শুধু প্রবঞ্চনা, অবিচার।
আজ শুধু মনে হয়, শুনিয়াছি লোকমুখে,
আছে মাত্র একজন, চিরবন্ধু দুখে সুখে;
বিপন্নের ত্রাণকর্ত্তা, নিরাশ প্রাণের আশা,
পাপপথে পরিশ্রান্ত ভ্রান্ত পথিকের বাসা;
কাঁদিলে সে কোলে করে, মুছে অশ্রু নিজ করে,
(আজি) সেই যদি ক’রে গো উদ্ধার!

মিশ্র ইমন- কাওয়ালী।