বিনা মেঘে বজ্রাঘাত

স্বামী-
“চাহিয়া দেখ, এনেছি আজ, জড়োয় মতিমালা;
আর, সতের ভরি, সোণার এই, মকরমুখো বালা;
তারের কাণ, পঁচিশ ভরি, হীরের দুটী দুল গো!”
স্ত্রী-
“আহাহা! কেবা ভাগ্যবতী, আমার সমতুল গো!
” স্বামী-
“এই, সোণার সিঁথি, ঝালরে মতি, কপিপাতা অনন্ত এ;
আর, হীরের চুড়ি, একুশ ভরি, হয় কিনা পছন্দ এ?
খোঁপার শোভা, সোণার ফুল এ, সেজেছে দুটী মীনে।”
স্ত্রী-
“(আহা!) পান সেজে দি, মস্‌লা দিয়ে,
ফেলেছ মোরে কিনে!”
স্বামী-
“কেমন হ’ল পয়লা কাঠি, কাটা-বাজু, এ চন্দ্রহার?
(আর) হীরের সাতলহরী মালা, ঝ’কে নাশে অন্ধকার!
জরির বডি, পার্সী সাড়ী, বড় বেশী দামী এ!”
স্ত্রী-
“(আহা!) মুছিয়ে দেই, বদনখানি, বড্ড গেছ ঘামিয়ে।”
স্বামী-
“এ সব, এনেছি বড় ব’য়ের তরে, তোমার তরে আনিনি;
ও কি ও? আরে, কাঁদ কেন? ছি! রাগ করো না মানিনি!
তোমার সব গহনা আছে, বড় ব’য়েরি নাই গো!”
স্ত্রী-
“হায় কি হ’ল! ধর গো ধর, পড়িয়া বুঝি যাই গো!”

মনোহরসাই- ঝাঁপতাল।