চির-শৃঙ্খলা

চাঁদে চাঁদে বদ্‌লে যাবে, সে রাজার এমন আইন নয়;
নাইক, তার মুসাবিদা পাণ্ডুলিপি, ভাই রে,-
নাইক তার, বাগ্‌বিতণ্ডা সভাময়।
সেই, সুরু থেকে ব’চ্ছে বাতাস, চল্‌ছে নদ নদী,
আবার, সাগর-জলে কি কল্লোল, আর ঢেউ নিরবধি;
দেখ, বর্ষে মেঘে বারিধারা, ভাই রে,-
তাইতে, ধরার বুকে শস্য হয়। (সেই সুরু থেকে)
সেই, সুরু থেকে সূয্যি ঠাকুর, উদয় হন পূবে,
আবার সন্ধ্যেবেলা, রোজ যেতে হয়, পশ্চিমে ডুবে;
দেখ, অমাবস্যায় চাঁদ ওঠে না, ভাই রে,-
তার, এক নিয়মে বৃদ্ধি-ক্ষয়। (সেই সুরু থেকে)
সেই, সুরু থেকে ক’চ্ছে ধরা, সূৰ্য-প্রদক্ষিণ,
আবার, মেরুদণ্ডের উপর ঘূরে ক’চ্ছে রাত্রি দিন;
তাইতে, বার মাস, আর ছ’টা ঋতু, ভাই রে-
দেখ, ঘুরে ফিরে আসে যায়। (সেই সুরু থেকে)
সেই, শুরু থেকে দিগ্‌দিগন্ত জুড়ে, আকাশ নীল!
ব’সে, উত্তরে ঐ ধ্রুবতারা, নড়ে না এক তিল!
আবার, আকাশে ঢিল মাল্লে পরে, ভাই রে,-
এই, পৃথিবী বুক পেতে লয়। (সেই সুরু থেকে)
সেই, সুরু থেকে আগুন গরম, সাগর-জল লোণা,
আবার, রূপো সাদা, লোহা কাল, হলুদ রং সোণা;
দেখ, আমের গাছে ধান ফলে না, ভাই রে,-
আর, কোকিল শুধু কুহু কয়। সেই সুরু থেকে)
যা ছিল না, হয় না তা আর, যা আছে তাই আছে;
এই, পাঁচ ভেঙ্গে, দশ রকম হচ্ছে, মিশ্‌ছে গিয়ে পাঁচে;
এ সব, ব্যাপার দেখে দিন দুনিয়ার, ভাই রে-
সেই, মালিক দেখতে ইচ্ছা হয়! (সেই আইনকর্ত্তা)

বাউলের সুর- আড় খেম্‌টা