দম্পতির বিরহ

(পত্র)

কবে হবে তোমাতে আমাতে সন্ধি;
যাবে বিরহের ভোগ, হ’বে শুভ-যোগ,
দ্বন্দ্ব সমাসে হইব বন্দী।

তুমি মূল ধাতু, আমি হে প্রত্যয়,
তোমাযোগে আমার সার্থকতা হয়,
কবে, ‘সতি, স্যতঃ, স্বস্তি’র ঘু’চে যাবে ভয়,
হবে বর্ত্তমানের ‘তিপ্‌ তস্ অন্তি!’

আমি অবলা-কবিতা, তুমি অলঙ্কার,
তোমা বিনে আমার কিসের অহঙ্কার,
করিছে অনঙ্গ, ছন্দোষতিভঙ্গ,
এসে সংশোধনের করহে ফন্দি।

কীর্ত্তনের সুর- জলদ একতালা।

(উত্তর)

প্রিয়ে, হ’য়ে আছি বিরহে হসন্ত;
সুধু আধখানা, কোনমতে রয়েছি জীবন্ত।
কি কব ধাতুর ভোগ, নানা উপসর্গ রোগ,
জীবনে কি লাগায়েছে বিসর্গ অনন্ত!
প্রেয়সী প্রকৃতি তুমি, প্রত্যয়ের লীলাভূমি,
তোমা বিনে কে আমারে ব্যাকরণে মান্‌ত?
অধ্যয়ন উঠেছে চাঙ্গে, রেতে যখন নিদ্রা ভাঙ্গে,
সুপ্ত “অ”কারের মত ম’রে থাকি জ্যান্ত!
এ যে, সন্ধি-বিচ্ছেদের রাজ্য, কবে হব কর্ত্তৃবাচ্য,
বিরহ অসমাপিকা ক্রিয়া, পাইনে অন্ত।
প্রিয়ে, তুমি আছ কুত্র, খেয়েছি সব মূল সূত্র,
পেয়ে তোমার প্রেমপত্র, কচ্ছি ‘হা, হা হন্ত!’

কালেংড়া- কাওয়ালী।