অন্তর্দৃষ্টি

তারে, দেবি যদি নয়ন ভ’রে,
এ দু’টো চোক কর্‌ রে কাণা;
যদি, শুন্‌বি রে তার মধুর বুলি,
বাইরের কানে আঙ্গুল দে না।
কিসের মধু চিনি? সে যে
গাঢ় প্রেমের মিশ্ৰি-পানা;
(তুই) খাবি যদি, ক’সে এঁটে
বেঁধে রাখ্‌ তোর কু-রসনা।
পরশ মণি পরশ ক’রে,
হ’তে যদি চাস্ রে সোণা;
(তবে) বিরাগ-পক্ষাঘাতে, অসাড়
ক’রে নে’ তোর চামড়াখানা।
সে যে রাজার রাজা, তার হুজুরে
যাবি যদি নাই রে মানা;
(তবে) অচল হ’য়ে,- শান্ত মনে,
সার কর্‌ আঁধার ঘরের কোণা।
কান্ত বলে, সকল কথাই
আছে আমার প্রাণে জানা;
(আমি) জেনে শুনে, ভেবে গুণে,
ভুলে আছি, কি কার্‌খানা!

ভৈরবী-ঝাঁপতাল।