অসময়

এখন, ম’র্‌ছ মাথা খুঁড়ে;
তোমার সকল আশা ফুরিয়ে গেল,
প’ড়্‌ল বালি গুড়ে।

যখন গায়ে ছিল বল,
ক্রোশকে ব’ল্‌তে বিঘত মাটি, প্রহর ব’ল্‌তে পল,
এখন যষ্টি ভিন্ন ষষ্ঠীর বাছা, সাত কুঁড়ের এক কুঁড়ে।

যখন বয়স বছর দশ,
তখন থেকেই দু’শ রগড়, জ’ম্‌তে লাগ্‌ল রস,
জলদি গজায় গোঁফ দাড়ী, তাই খেউরি শুরু ক্ষুরে।

যখন, উঠ্‌ল দাড়ী-গোঁফ,
বুক ফুলিয়ে বেড়াতে, আর মুখে দাগ্‌তে তোপ;
কত, রাজা উজির মারতে,খেম্‌টা গাইতে মিহিসুরে!

ছিল, নিত্য নূতন সাজ,
ফুলল তেল আর সাবান ঘষা,
এই ছিল তোর কাজ;
কত জুতো, ঘড়ি, চসমা, ছড়ি, ধুতি শান্তিপুরে।
ছিল, দেহের বাহার কি!
সোণার কার্ত্তিক, নধর গঠন, রসের আহারটি;
এখন, হাড়ের উপর চামড়া আছে,
মাংস গেছে উড়ে।

ভাব্‌তে, “বাঁচ্‌ব কত কাল;
বুড়ো হ’লে দেখ্‌ব বাবা, ধৰ্ম্ম কি জঞ্জাল!
এখন খাই তো মুরগী, প্রায়শ্চিত্ত ক’র্‌ব মাথা মুড়ে।”

দীন কান্ত বলে, ভাই,
আগেই আমি ব’লেছিলাম, তখন শোন নাই;
(আর) কি ফল হবে খুঁড়্‌লে কুয়ো,
বাড়ী গেছে পুড়ে।

বাউলের সুর-গড় খেম্‌টা।