পিতার পত্র

বাপা জীবন!
তোমার মঙ্গলাদি না পেয়ে বিশেষ চিন্তার্ণিত আছি,
হপ্তাবাদে পত্তর ভির্ণ কি প্রকারে বাঁচি?
মোদের দারিব্রতার দরুণ বড় কেল্লেশে দিন যায়,
(তাতে) ম’চ্ছ দুধের প্রেসঙ্গ এবার নাইক এ দেশটায়।
(আবার) আধ কাঠা ধানও এবার পেলাম নাকো ভুঁয়ে,
তাতে খাজানা খরচার কড়া ত’শিল ক’ল্লে ছিধর ভুঞে।
আমার, পরণের বস্তর ছির্ণ, গ্ৰেহ পারি নি ছাইতে;
তাতে দিন রাত্তির গোঁয়াই তোমার পরের পথ চাইতে।
তোমার গৰ্বধারিণী কান্দে কি হৈল বলিয়ে,
(বাপা) মা বাপকে কেল্লেশ কি দেয়, সুবুদ্ধি হইয়ে?
তুমি কত নেখাপড়া জান, আমরা ত মুরুক্ষু;
আর, তুমি ভির্ণ বের্দ্ধ বাপের কে বুঝিবে দুস্কু!
তোমার, কেতাব, জুতো, ইষ্টিসিন, আর এন্‌গেলাপের মূল্য,
নাগে তিরিশ টাকা, শুনেই অত্যান্তিক মাথা ঘুর্‌ল।
আমার গায়ের বালাপোস, আর তোমার মায়ের তাগা,
পরশু, বাঁধা থুয়ে, কায়কেল্লেশে পাঠিয়েছি পাঁচ টাকা।
বাপা, অত্র পত্র প্রাপ্ত মাত্র পত্রের উত্তর দিও,
আর, যত্র, তত্র থাকি সত্তর তত্তবাত্রা নিও।
(তোমায়) বিদেশে রাখিয়ে বাপা সসঙ্কৃত থাকি,
(আর) গোবিন্দ চরণ ভরসা তাঁরেই কেবল ডাকি।
এন্‌গেলাপে কি প্রিয়োজন? পোষ্টকাটেই হবে,
সদা মংগল বাত্রা দিবে আর, সাবধানেতে রবে।
কবে চাঁদমুখ দেখব ব’লে দিয়ে আছি ধন্না,
নিয়ত আসিব্বাদক বিষ্ণু প্রেসাদ শম্মা।

মিশ্র বিভাস- কাওয়ালী।