যা’ হয়েছে, হচ্ছে যা’, আর যা’ হবে, সব জানিরে,
আমার, প্রাণের মাঝে, তোর কথা নিয়ে,
হ’চ্ছে কাণাকাণি রে।
যেমন ক’রেই হোক্,
আ’ন্ব টাকা, লুট্’ব মজা, এই ছিল তোর রোখ্;
তা’, সিঁদ দিয়ে, কি পকেট কে’টে, ক’রে রাহাজানি রে।
বা’ড়্বে কিসে আয়,
খস্ড়া-পাকা জমাখরচ হিসেব সেরেস্তায়;
রোজ, সন্ধ্যে বেলা আধ্লা নিয়ে করিস্ টানাটানি রে।
তোর কি কসুরে জেল?
মাথার ঘাম, দুপায়ে ফে’লে, কেন ভাঙ্গিস্ তেল?
তুই, সারাজীবন টে’নে মলি, পরের তেলের ঘানি রে।
ঐ দেখ্ আস্ছে সে দিন,
যেদিন কফের নাড়ী উঠ্বে জে’গে, বায়ু-পিত্ত ক্ষীণ;
সেদিন কস্তুরীভৈরবে, হা’লে পাবে না আর পানি রে।
ব’স্বে ঘিরে মা’গ্ ছেলে,
ব’ল্বে, “বলে যাও গো, কোন্ সিন্ধুকে
কি রে’খে গেলে;”
শুন্বি ‘টাকা’, কাণে কেউ দেবেনা
তারক-ব্ৰহ্মবাণী রে।
বোধ হয়, বুঝ্তে পাচ্ছ বেশ,-
যে, তোমার জন্যে তোয়ের হচ্ছে
কেমন মজার দেশ!
সেথা, চাইবিনা তুই যে’তে, তবু
নিয়ে যাবে টানি’রে।
বাউলের সুর- খেম্টা।