প্রাণপাখী

এই মোহের পিঞ্জর ভেঙ্গে দিয়ে হে,
উধাও ক’রে ল’য়ে যাও এ মন।
(আমি) গগনে চাহিয়া দেখি, অনন্ত অপার হে!
(আর) আজনম বন্দী পাখী, পক্ষপুট ভার হে;
(উড়ে যাবে কেমনে); (আর উড়ে যাবে কেমনে);
(নিজ বলে উড়ে যাবে কেমনে); (তোমার কাছে উড়ে
যাবে কেমনে); (তুমি না নিলে তুলে, উড়ে
যাবে কেমনে); (তুমি দয়া ক’রে না নিলে তুলে,
উড়ে যাবে কেমনে?)

(প্রভু) বাঁধ তব প্রেমসূত্র (এই) অবশ পাখায় হে;
(আর) ধীরে ধীরে তব পানে, টেনে তোল তায় হে;
(একবার যেতে চায় গো); (এই খাঁচা ভেঙ্গে একবার
যেতে চায় গো); (তোমার কাছে
একবার যেতে চায় গো); (তোমার পাখী তোমার কাছে
একবার যেতে চায় গো); (পাখায় বল নাই, তবু
তোমার কাছে একবার যেতে চায় গো!)
(তুমি) তুলে নিয়ে, প্রেমহস্ত পালকে বুলাও গো;
(তোমার) প্রেম-সুধা-ফল খাওয়ায়ে, পাখীরে ভুলাও গো;
(যেন মনে পড়ে না); (এই মোহ-পিঞ্জরের কথা,
যেন মনে পড়ে না); (এই বন্দীশালের দুখের
আহার, যেন মনে পড়ে না।)

(প্রভু) শিখাইয়া দেহ তারে, তব প্রেমনাম হে;
(যেন) সব ভুলি’, ওই বুলি, বলে অবিরাম হে;
(ব’সে তোমারি কোলে); (তোমার সুধা-নাম
যেন গায় পাখী, ব’সে তোমারি কোলে);
(যেন গাইতে গাইতে, পুলকে শিহরে, তোমারি
কোলে); (যেন সব বুলি ভুলে, ঐ বুলি বলে,
তোমারি কোলে।)

মনোহরসাই- গড় খেম্‌টা।