প্রেমাচল

তব, বিপুল-প্রেমাচল-চূড়ে, বিশ্ব-জয়-কেতু উড়ে,
পুণ্য-পবন-হিল্লোলে, মন্দ মৃদু মৃদু দোলে;
দিয়ে শান্তি-কিরণ-রেখা, মহিমা-অক্ষরে লেখা,
“ক্লিষ্ট কেবা আয় রে চ’লে, চিরশীতল স্নেহকোলে।”

সাধুগণ, যোগিগণ করিছে সুখে বিচরণ,
চিদানন্দ-মধুর-রস করিছে পান, বিতরণ;
(ঐ) গগন ভেদি’ উঠেছে গীতি, স্বরে জড়িত মধুর প্রীতি,
আনন্দ-অধীর রোলে, তৃষিত ছুটে দলে দলে।

হের বিশাল-গিরি’পরে মুক্তিনির্ঝরিণী ঝরে,
দূরাগত পথশ্রান্ত দু’হাতে তুলি’ পান করে;
(কেহ) চাহে না আর ফিরিতে গেহে, প’ড়ে রহে অবশ দেহে,
বিভল হ’য়ে “দয়াল” ব’লে, বিভবসুখতৃষা ভোলে।

পরোজ- ঝাঁপতাল।