আরে ছি ছি! আমি লাজে মরি, ঘট্লো একি দায়;
বহুদিনের গুমর আজ্কে ছুটে গেছে হায় রে হায়!
কোন্ ভাষায় লিখেছ চিঠি,
সাপ, কি ব্যাঙ, কি গিরগিটি, গো, ধ’রে খেতে চায়;
তোমায় লেখা পড়া শিখিয়েছিল কোন্ গুরুম’শায়?
তোমার মতন মুক্খু বাবা,
গৈগেঁয়ে প্রকাণ্ড হাবা! তার কাণ্ডজ্ঞান কোথায়?
যেমন আক্কেল, তেমনি চিঠি, সোণা সোহাগায়।
যেমন সে আঁখরের ছিরি,
তেমনি মুসবিদার মুন্সিগিরি, গো, দুখে হাসি পায়;
তোমায় বাপ বলে পরিচয় দিতে, মরি যে লজ্জায়!
বিদ্যেসাগর, মদনমোহন,
তাঁদের, শ্রাদ্ধ আর সপিণ্ডীকরণ যে ক’রেছ বেজায়,
রেফে কেঁপে উঠছে যে প্রাণ, কাঁটা দিচ্ছে গায়!
ব্যাকরণের দফা ইতি;-
তুমি না ক’রেছ পণ্ডিতি গো, পেঁড়োর পাঠশালায়?
এমন কি আর আজগুবি কাণ্ড, আছে দুনিয়ায়?
নিজের নামটা হয় না শুদ্ধ,-
বাণী কি বেজায় বিরুদ্ধ গো, হ’য়েছেন তোমায়;
তাই, লিখ্তে বসলে কাগজ পেনে, যুদ্ধ বেধে যায়;
তোমার বড় পয়সার খাঁক্তি,
তাই পঞ্চসংখ্যক রৌপ্যচাক্তি পৌঁছেচে হেথায়;
আর সেই দিনই তা ফুরিয়ে গেছে, বিলিতি বিনামায়।
এই বিংশ শতাব্দীতে,
ছেলের পড়ার কেতাব দিতে, যে চিতে ব্যথা পায়,
তার জীবনে সভ্যজগতের কিবা আসে যায়?
তোমার, চিঠির জ্বালায় জ্ব’লে মরি;
একটা কথা, পায়ে ধরি গো, পাইনে মুখ হেথায়;
তোমার, বৌমার কাছে একটু একটু পড়্লে ভাল হয়।
আরে, বানানের ভুল সেরে যাবে,
এবার ত দুরস্ত হবে, কও ক্ষতি কিবা তায়?
সে যে, রাখাল ভাল, বড় বড় গরু সে চরায়!
কান্ত বলে, এ মহীতে
আর কি পারে ভার সহিতে? কখন বা ব’সে যায়!
কি বিষম বিলিতি হাওয়া, এল এ দেশটায়!