হৃদয়-পল্বল

এই,-
ক্ষুদ্র-হৃদয়-পল্বল-জল, আবিল পাপ-পঙ্কে;
অদেয় অপেয়, তৃষায় স্পর্শ করে না কেহ আতঙ্কে!
চৌদিকে বেড়া কঠিন ভূমি, মধ্যে হয়েছি বন্দী;
(ওহে) প্রেম-সিন্ধু! আর কেমনে মিলিব তোমার সঙ্গে?

(তব) মিলন-আশে, সাধু সুজন, প্রেম-তরঙ্গ তুলিয়া,
বহিয়া গিয়াছে, দীন অধমে দূর-সৈকতে ফেলিয়া;
প্রভু, বসে না তীরে জলবিহঙ্গ, মলয় করে না খেলা;
ঝঞ্ঝা সৃজে গো নদী-তরঙ্গ, আমারে করে সে হেলা!

প্রভু, ফোটে না এ জলে ভক্তি-কমল, চলে না পুণ্যতরণী;
চির-নির্ব্বাসিত ক’রেছে আমারে কোলাহলয় ধরণী;
(কবে) শুকাইয়া যাবে এ মলিন বারি, শেষ রবে না বিন্দু;
(বড়) দুঃখ, বক্ষে বিম্বিত হ’লো না, নিৰ্ম্মল প্রেম-ইন্দু!

মনোহর সাই- জলদ একতালা।