তিনকড়ি শর্ম্মা

(আমি) যাহা কিছু বলি,- সবি বক্তৃতা,
যাহা লিখি,- মহাকাব্য;
(আর) সূক্ষ-তত্ত্ব-অনুপ্রাণিত-
দর্শন,- যাহা ভাব্‌ব।
(দেখ) আমি যেটা বলি মন্দ,
সেটা অতি বদ্‌, নাহি সন্দ,
(আর) আমি যা’র সনে বলিনে বাক্যি,
সে নয় কারো আলাপ্য।
(দেখ) আমি যেটা বলি সোজা,
সেটা জলবৎ যায় বোঝা,
(আর) আমি যেটা বলি ‘উহুঁ না’, তা’র
মানে করা কি সম্ভাব্য?
(আমি) যা’ খাই সেইটে খাদ্য;
আর, যা’ বাজাই সেটা বাদ্য;
(আর) আমি যদি বলি ‘এইটে উহ্য’,
সেইখানে সেটা যাপ্য।
(আমি) চেঁচিয়ে যা’ বলি, গান তাই,
তাতে পুরো অথারটি বান্দাই;
(আর) ক’ত্তে হয় না ওজন সেটাকে,
নিজহাতে যেটা মাপ্‌ব।
(এই) মাথাটা কি প্রকাণ্ড,
(এটা) অসীম জ্ঞানের ভাণ্ড!
(দেখ) আমি যা’রে যাহা খুশী হ’য়ে দেই,
তাই তা’র নিট্‌ প্রাপ্য।
(আমি) করি যার হিত ইচ্ছে,
তারে পৃথিবী শুদ্ধ দিচ্ছে,
(দে’খো) কক্ষণে তার বংশ রবে না,
ঘরে ব’সে যারে শাপ্‌ব।
(আমি) যেটা বলে যাব মিথ্যে,
(তুমি) যতই ফলাও বিদ্যে,
(দে’খো) কক্ষণো সেটা সত্যি হবে না,
তর্কই হবে লভ্য।
(এই) দু’খানি রাতুল শ্রীচরণ,
দিয়ে, যেখানে করিব বিচরণ,
(দ্যাখো) সেটা যদি তুমি তোমার বলিবে,
ভূত হ’য়ে ঘাড়ে চাপ্‌ব!
(দ্যাখো) আমি তিনকড়ি শৰ্ম্মা,
(এই) ধরাধামে ক্ষণজন্মা
(দে’খো) তখনি সে নদী হবে ভাগীরথী,
আমি যার জলে নাব্‌ব।
(দীন) কান্ত বলিছে ভাইরে,
(অতি) তোফা! বলিহারি যাইরে!
(আমি) তোমার নামটা “হামবড়া” প্রেসে,
সোণার আখরে ছাপ্‌ব!

ভৈরবী- গড় খেমটা।