আবরিত আশ্রয়

প্রতিকূল প্লাবনে কি ভেসে যাবে মানুষের ধান!
এইসব পাললিকা- এইসব শস্যের হাত
কোনো বকুল-দরোজাকে খুলবে না স্পর্শে আঘাতে
পরশের পাললিক তীব্রতায়!
প্লাবনে কি ছিন্নমূল হারাবে সব ব্যাকুল প্রস্তুতি!

কোন নির্জন জানালার পাশে তোমার বেড়ে ওঠে প্রতীক্ষার বয়স!
কোন বষায়-কোন জোয় অলস-আলতো চুলে
উর্মিল উদাসিনতা মেখে নিজেতেই কেঁপে কেঁপে ওঠো,
প্রথম চুম্বন, প্রথম স্পর্শের মতো।

মাংশের মন্দিরে আরতির আয়োজনে দুলে উঠে
চন্দন ফুলে সাজিয়েছি এই আজন্ম আচ্ছন্ন বেদী-
কোথায় প্রতিমা?
কোন সব মুখের ভিড়ে লুকোনো মুখ, কোন অবয়ব ঢেকে আছে তারে
কোন চোখ আড়াল করেছে তার আঁখি-নক্ষত্র!

নিরাশ্রয় এই বাসন্তি বিক্ষোভ ভেসে যাবে প্লাবনে বাতাসে
সময়ের গণ্ডার এসে ছিড়ে খাবে শস্যসুলভ বৃক্ষ, পাখিদের,
মর্মে তনুতে তবু অঘ্রান বাড়ে, সঞ্চয় বাড়ে বিশ্বাসী বুননে।

শস্যের হাতে স্পর্শ করো জীবনের এইসব বিচ্ছিন্নতা,
এইসব খণ্ডিত প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশায় গেঁথে দাও অমেয় সিবন।
আর এ-সংশয়ে নয়- পাললিকা, এবার আশ্রয় হও
ভিড়ের ভেতর থেকে হাত তুলে বলোঃ মানুষ
এই আমি তোমার উদ্ধার।