আমিই ব্যতিক্রম একমাত্র

আমিই সৃষ্টির মাঝে একমাত্র ব্যতিক্রম;
যা কিছু সৃষ্টি ছাড়া সবি তা আমার সৃষ্টি।
আমি প্রাসাদের আজীবন ব্লাডপ্রেসার,
এবং মর্টারের মরনমুখী যক্ষা;
তাই সাথী খুঁজে পাইনি চলন্ত স্টীমারে।

আমি ঠিকানাহীন পতিতার জারজ সন্তান-
হয়তো মা বলে ভাবি তাই পৃথিবীটাকে,
কেন না তোমাদের মা শুধু আপনারই।
হয়ত শতাব্দীর পিতৃহীন যীশু আমিও
কিন্তু তোমাদের স্থুল অভিধানে অশুদ্ধ তা।

আমিই ব্যতিক্রম একমাত্র- এখানেই
কেননা আভিজাত্যের মুখোশে দিয়েছি লাগিয়ে
চলন্ততার দ্রাবিঢ় কালে আগুন, এবং যা
পুড়বে বিক্ষিপ্ত লাল লাল চক্র আকারে।

আমিই ড্রেনে কুড়িয়ে পাওয়া ফুটো পয়সা
এবং ডিনারের উচ্ছিষ্ট শেষ খাবারটুকু
বোন প্লেটের। আমিও এমনি পিষ্ট নির্দয়
ট্রামের লার ক্ষুদ্র সবুজ বালকটি।

আমিই ব্যতিক্রম এখানে একমাত্র
কোথাও ভ্রূক্ষেপ নেই বিন্দু, ক্ষ্যাপা চৈত্রের
উন্মাদ ঘোড়ার মতো, সখেদে কখনো
উড়াই সোনালি কেশর প্রচুর বাতাসে।
রাত্রির গাঢ় বুকে পায় পায় হৈঁটে যাই
স্পর্শ করি গোলাপের নিভাঁজ গোপন অংগ,
অথবা নিশ্চিন্তে চুমো খাই সোঁদোলে ঘাসে।

সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠে যাই সব চেয়ে উপরে;
যেখানে আকাশ অসীম, বলাকারা নিশ্চুপ-
ঈশ্বরের ভক্ত দূতরা বিচরে যেখানে
আমিও চলে যাই। দেখি সহ পতিতার
বাহুগ্রাসে অন্ধ ঈশ্বর; অথচ কেমন করে
আজ তোমায় প্রনাম করব আমি।