আত্ম তৃপ্তি

এ ব্যথার ক্রন্দন সখি, এতো শুধু মোর,
এ নহে কিছুই তোমার; এ বেদনা আঁখিলোর।
পথহারা হয়ে বিজন বনে;
চলা পথ খুজি পরান পনে,
রিক্ত হতাশে অক্লান্ত চলা; মরুঝার ঘোর।
ওগো সে চলা তো শুধু মোর।।

ফিরে আসা মধুমিলন রাতে,
ঝরাকুসুমের কন্ঠিকা হাতে
প্রতীক্ষায় বসে থাকা বেলা।
সখি সে তো শুধু মার একেলার।

রজনীর ঘট ঘটা কুণ্ডলে কালি জটা
শ্রাবন প্লাবন অবিরল,
তটিনীর খরধারা মাঝি আজি পথহারা
উতলা তরঙ্গ জল।
বহে বায়ু স্মৃতি ম’রে, চাঁদনী বহুদূরে
পল্লবে জাগে কম্পন মধুর।
মানস বীনার সুরে।

আখির চপল চাওয়া সহসা মিলায়ে,
অবিরল জল আসে আঁখিতট ছাপায়ে-
মধুরে মধুর ছবি বাসর খেলার।
সখি, সে জল শুধু মোর একেলার।।

অভিমান-অনুরোধ, অভিশাপ-ছলনা
এ নহে কিছুই মোর,
বেদনার হাহুতাশে শুধু বিরহ
অসহায় আঁখিলোর।

সব ফুল সব মায়া স্নেহ,
সকলি তোমার সুখ গেহ।
এই চাঁদ-মধু সাঁঝ, এই হাসি হল লাজ
এ চাওয়া চপল তৃষা,
এ নিঝুম নিশি রাতি
এ বাসর এই স্মৃতি
এ নবীন আলোর দিশা
সকলি তোমার। প্রসাদ
ঢালিবে ঢাকিয়া নাদ।

কোনদিন কোন পথে,
কোন কালে কোন রথে
বিহার সমীরে ভাসিয়া যেতে,
সহসা ছাপিয়া আসে
আখিজল; নিশেষে
উৎসরি দিও মোরে অভিসম্পাতে।
প্রানের আবেগে যদি না রুধিতে পারি,
বিস্মৃতি সুরে গাঁথিয়া রাখিব তারে।
এ পথ বাহিয়া মহা যুগ যুগ ধরি
মিশিয়া রহিবে তোমার আনন্দ
এ মোর বিরহী পরানে স্মরি।