বিশ্বাসী বৃক্ষের ছায়া

ওই তরুতলে বিশ্বাসী ছায়া, ওই ছায়াটুকু অনুকূল,
রোদে পোড়া মন চায় গৃহ-ছায়া, চায় নির্জন বসবাস-
অবরোধ খোলো, ওই ছায়াতলে যাই।

সারা প্রান্তরে ঘামের গন্ধে বাতাস যখন ম্রিয়মান
যখন শরীরে ক্লান্তির গানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে অবসাদ,
তখন তোমার গৃহ-ছায়াখানি খোলো।

গৃহ-ছায়াতলে যে-বৃক্ষতল, যে তরুর ছায়া অপরূপ
ফিরে এসে তুমি সেই ছায়াটুকু খুলে দিও দিন অবসানে।

বেদনাকে চিনি, রোদ্দুর চিনি, তৃষ্ণা তুমুল বিষফল।
দূর্যোগ-দিনে দেখেছি পীড়িত অসহায় একা গাঙচিল-
দুটি চোখ তার নিরাপদ নীড় খোঁজে কি ভীষন তৃষ্ণায়।

গৃহখানি দাও, রোদে পোড়া মন চায় নির্জন অধিবাস…

ওই তরুতলে বিশ্বাসী ছায়া, ওই গৃহহারা অবিনাশ,
শরীর এখন ক্লান্তির কাছে নুয়ে আসে ঘোর অবসাদে-
অবরোধ খোলো, আমাকে তোমার ওই ছায়াটুকু দাও।

১১.০৯.৭৭ মিঠেখালি, মোংলা।