বৃষ্টির ভ্রূণ দেখে/ছুঁয়ে আছি নশ্বর মাংশের দেহ

দাঁড়িয়ে পড়লে কেন? বাঁক পেরোলেই ঝর্না,
আর ঝর্না মানেই তোমার চুল, কালো জল।
থামলে যে? পাড় ধরে হেঁটে যেতে থাকি,
জানি না কি ফুল, তার নাম, তবে আছে
অচেনা অনেক ফুল।
অচেনা ইচ্ছার মতো ফুটে থাকে বুকের বাগানে-
দাঁড়ালেই থেমে যাবে, ভালোবাসা হাঁটি চলো।

হাঁটতে হাঁটতে ভালোবাসা, চলমান স্মৃতি
হাঁটতে হাঁটতে কিশোরের গোলাপি মার্বেল
কুড়িয়ে পাবার মতো সুখ।
হাঁটতে হাঁটতে সুদূরের নিবিড় দিগন্ত,
যেন এগুলোই ছোঁয়া যাবে নরোম আঙুলে তার
নিভৃতের দুঃখ কষ্ট,
নিরালোকে ফুটে থাকা স্বপ্নময় হৃদয়-গোলাপ।

আসলে তো পরস্পর পরস্পরের দিগন্তে দেখি মেঘ,
আমরা বৃষ্টির ভ্রূন দেখে চৌচির প্রানের জন্যে,
শস্যহীন হৃদয়ের জন্যে আশাবাদী হয়ে উঠি-
পরস্পরের দিগন্ত ছুঁতে চাই, ছুঁতে চাই
দিগন্তের মেঘ।

হৃদয়-দিগন্ত ছুঁতে চেয়ে একদিন জেগে উঠে দেখি
ছুঁয়ে আছি পরম্পর আমাদের নখর মাংশের দেহ।।

০১.১০.১৯৯৬ রাজাবাজার, ঢাকা