ধর্মান্ধের ধর্ম নেই, আছে লোভ, ঘৃন্য চতুরতা

যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ,
তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংশে বীভৎস ক্ষতরা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি
ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
ক্রমশ উঠছে ফুটে ক্ষয়রোগ, রোগের প্রকোপ।

একদার অন্ধকারে ধর্ম এনে দিয়েছিলো আলো,
আজ তার কংকালের হাড় আর পচা মাংশগুলো
ফেরি কোরে ফেরে কিছু স্বার্থান্বেষী ফাউল মানুষ-
সৃষ্টির অজানা অংশ পূর্ন করে গালগল্প দিয়ে।
আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সেতো হেমলক বিষ।

ধর্মান্ধের ধর্ম নেই, আছে লোভ ঘৃণ্য চতুরতা,
মানুষের পৃথিবীকে শতখণ্ডে বিভক্ত করেছে
তারা টিকিয়ে রেখেছে শ্রেণীভেদ ঈশ্বরের নামে।
ঈশ্বরের নামে তারা অনাচার করেছে জায়েজ।

হা অন্ধতা! হা মূর্খামি! কতোদূর কোথায় ঈশ্বর!
অজানা শক্তির নামে হত্যাযজ্ঞ কতো রক্তপাত,
কতো যে নির্মম ঝড় বয়ে গেলো হাজার বছরে!
কোন সেই বেহেস্তের হুর আর তহুরা শরাব?
অন্তহীন যৌনাচারে নিমজ্জিত অনন্ত সময়?
যার লোভে মানুষও হয়ে যায় পশুর অধম!

আর কোন দোজখ বা আছে এরচেয়ে ভয়াবহ?
ক্ষুধার আগুন সে-কি হাবিয়ার চেয়ে খুব কম?
সে-কি রৌরবের চেয়ে নম্র কোনো নরোম আগুন?

ইহকাল ভুলে যারা পরকালে মত্ত হয়ে আছে,
চলে যাক তারা সব পরপারে বেহেস্ত তাদের।
আমরা থাকবো এই পৃথিবীর মাটি জলে নীলে,

দ্বন্দ্বময় সভ্যতার গতিশীল স্রোতের ধারায়
আগামির স্বপ্নে মুগ্ধ বুনে যাবো সমতার বীজ।

২৪.০৮.১৯৯৫ রাজাবাজার, ঢাকা