জানালায় জেগে আছি

জেগে আছি, তুমি ভুল বুঝো না-
এতো নিরবে এতো নিশব্দে খুলেছি নিদ্রার রেনু
স্পর্শকাতর বাতাসেরও কাঁপেনি শিথিল কুন্তল।
জেগে আছি- তুমি নিদ্রা ভেবে ভুল কোরো না।

চোখের কার্নিশে জমেছে অযত্ন অবহেলা,
উদাসী ঊর্ননাভ
কখন বুনে গেছে সংসার নিজের চতুর্পাশে জানি না,
আসাতে বিভোর ছিলাম তার চ’লে যাওয়া মনে নেই…

এতোটা বিভোরতা ছিলো, এতোটা পাওয়ার পুলক
এতোখানি বসবাস ছিলো তার আমার গভীরে!
কোনো কথাহীন নিশব্দে এসে করতলপটে লিখেছিলো
একখানি কথা- আমি।

একখানি কথার ভেতরে এতো কথা ছিলো, এতো মোহ ছিলো
একখানি বাঁকা চাঁদে ছিলো এতোটা স্নিগ্ধ পূর্নিমা।

জেগে আছি, জেগে আছি- যতোদূরে যাও
জেনো রাত্রির ঘরে আমারো একখানা জানালা আছে,
চৈত্রের সব পাখি- সব ফুল- সব প্রতীক্ষারা
এই নিশব্দ জানালার কাছে নত হয়ে আসে
অঙ্গের সুষমা খুলে যায় সৌরভরাশি।

এতোটা নিশব্দে জেগে থাকা যায় না, তবু জেগে আছি…
আরো কতো শব্দহীন হাঁটবে তুমি, আরো কতো নিভৃত চরনে
আমি কি কিছুই শুনবো না- আমি কি কিছুই জানবো না!

১৯.০৩.৭৬ মিঠেখালি মোংলা।