কোনদিন বর্ষারাতের সেন্ট্রি

যুবতীর সবুজ চুমো হয়ে বর্ষা ঝরে
সবুজ ঘাস সে কি চায় বর্ষার স্পর্শ!

লাইটপোস্ট ভিজছে, রাস্তার মোড়ে
পার্ক করা মোটর গাড়ীর চকচকে পিঠ
বিধ্বস্ত বর্ষার ফোঁটারা মুখরিত হয়
প্রতিবাদ করে না নীরবে বাড়ায় বাহু।

সর্বশেষ যাত্রীহীন বাসটার আর্তনাদ
বিষাক্ত করে অনাবিলতাকে। তুমি বলে দাও
কোথায় দাঁড়াবো আমি, পরিচিত স্থান
এমন কোথায় বলো। উবুঝুবু কাঁঠালি গাছটা
আমাকে ডাকে না অনাত্মীয়ের অজুহাতে।
আমি তো মেঘ হতে পারি না নরোম স্বচ্ছ,
আমাকে দুটি পাখা দাও উড়ে যেতে।

বর্ষাক্রান্ত মুমূর্ষ শহরের কানাগলি
আমাকে ঠাই দেবে, সেতো আমারি।
রিকশার টুনটুন ক্রমশ অন্তরালে

আমিই শুধু শহরের একমাত্র সেন্ট্রি
পাহারারত অজস্র বর্ষার বিরুদ্ধে।

কোনদিন বর্ষার রাতে কোনো কুমারীর
আলতো ঘুম ভেঙে যায়, উত্তপ্ত শয্যায়
কারো প্রতীক্ষায় থাকে কি কেউ কখনো?
কেউ কি খোঁজে কারো বিবর্ণ পাণ্ডুলিপি
অতীতের! আমি জেগে থাকি অবিরত
বর্ষার রাতে এক নীরব সেন্ট্রি হয়ে।