কৃষ্ণপক্ষে ফেরা

অন্ধকারেও চিনে নেবো সঠিক- ভেতরে আগুন আছে।
আত্মঘাতী আগুনের খেলায়
যদিও পুড়েছে বনভূমি, বকুলের কিশোরী নিশ্বাস
প্রিয় অগ্নিকে তবু পুষেছি ঘাতক নির্জন উৎসাহে।

কতোটুকু মোহাচ্ছন্ন হবে পথ
কতোটুকু অন্ধকার হতে পারে আঁধারের তনু!
ঠিকই চিনে নেবো আগুনের অন্য ব্যবহারে,
জীবনে জন্ম ঘ’ষে জ্বালানো আগুন- ঠিকই চিনে নেবেো।

দুচোখে মৃত্যু মেখে যতোই অচেনা হও
কথার কৌশলে সাজিয়ে রাখো অপরিচিত অভ্যেস
তবু কতোটুকু অচেনা হবে!
অধরের তীরে কালো তিল নয় বোধের উৎস ভুমিতে
শনাক্তকরন চিহ্নের মতো জ্ব’লে আছো অবিনশ্বর কাংখায়
জন্মে জন্মে জ্বলে আছো অনল জাহ্নবী।

চিনে নেবো আকাশ নদী নক্ষত্র শহর সংসারে
ধারালো রোদের স্বভাবে কেটে-কেটে সকল অগম্যতা,
দুচোখে আধারের শোকচিহ্ন নিয়ে কৃষ্ণকন্ঠ
কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের গোপন অভিসারী সাহস
দরোজায় মৃদু আঙুল ছুঁয়ে ডাক দেবো- এসেছি।

২৩.০৩.৭৬ রামপাল, মোংলা।