মালা বদল

সেদিন এসেছিল বাসরবেলা
হয়নি বদল মালা,
ফুটেছিল ফুল সৌরভ ঢালি
রচেনি বরন ডালা।
মোদের বরনে হাসিয়াছিল
রাঙা গোলাপ ফুলে,
হয়ত তোমার ললাটের টিপ
ওঠেনি আলোয় জ্বলে।
লওনি আঁচলে লাজুক ঢাকিয়া আঁখি,
ওঠেনি কুঞ্জে পাপিয়া কোয়েলি ডাকি।
তবুও মোদের বাসর হেসেছে
মাল্য দানে আজি,
মোদের জীবন বন্দনমালা
আজিকে উঠিল সাজি।
এ মালা যাবে ঝরে
নিরবে শুকায়ে হায়,
তবু সে বাঁধন অম্লান রবে
হৃদয়ে বেঁধেছি যায়।
যত দিন বয়ে যাক কালস্রোত ধরি
যত ছবি মিশে যাক বিস্মৃতি স্মরি।
যত ব্যথা সৃতি হোক
যত সুখ ঝরে রোক
জীবন ছোঁয়ায়,
তোমার হাসি-অশ্রু
রহিবে আনন্দ ব্যথায়
আমার হৃদয়ে চিরদিন।
বেজে ওঠে সহসা যদি বিদায়ের বীন।

আঁধিভরা জল নিয়ে যদি যাই চলে,
জলের কনিকাগুলো মিশায়ে কাজলে
বেঁধে রেখো মর্মর পত্রপল্লবে।
মোর হাসিটুকু মিলাবে যবে

বনানীর প্রান্ত সীমানার পারে,
কুসুম সৌরভটুকু তার রাখিও ধরে।
স্মৃতির অতল গহনে নয়-
নহে তা চোখের জলে,
রাখিও বাধিয়া তায় হৃদয় তলে।
জানিবে না কেহ কোনদি
বুঝিবে না কেহ তার ভাষা,
নিরবে সকলি থাক
মোদের যত আশা।
তুমি জাগো আমি জাগি
এ বন্ধন রবে জেগে,
ফুল্ল যুথিকা অম্লান হেসে
আঁখিপাতে অনুরাগে।