নক্ষত্রের ধুলো

মারী ও মরক নাচে পাণ্ডুর মানুষের বুকের প্রদেশে।
ধূসর-পালক-রাতে পলাতক সব পাখি-পাখিদের গান-
যেন এই মাঠে আর উৎসব হবে না কোনোদিন-কোনো শীতে
ফসলিম জমি শস্য-পার্বন নিয়ে জোয়ার রাত্রিগুলোকে
ছোঁবে না কখনো আর।

প্রৌঢ় পৃথিবীর নগ্ন খুলিতে পা রেখে এক অঘ্রানী যুবক,
করতলে মাটি ছুঁয়ে রক্তে মাংশে পেতে চায় শানিত আগুন,
বন্ধ্যা অন্ধকার তবু মৃত মানুষের মতো ব’য়ে আনে শীত
ব’য়ে আনে কবরের হলুদ কাফনে বাঁধা একরাশ স্মৃতি।

পাণ্ডুর রমনী দেহে-কালো কৃষকের বুকে
শস্যের সম্পাত নিয়ে একফালি মুগ্ধ চাঁদ
কাস্তের চিৎকার দুলে তুলে দেবে নাকি কিছু ফেলে আসা শ্রম,
শ্রমের ক্ষমতা।

ক্ষুধার শয্যা পেতে এক মন্বন্তরের ক্ষুধিত শকুন
মননের হাড় থেকে ছিঁড়ে খায় বোধি প্রেম, সুস্থতার মাংশ,
মানুষ জানে না তবু কতো হাড় করোটির ধুলো জ’মে জ’মে
একটি নক্ষত্রের বিশ্বাস জন্ম নিয়েছে সেইরাতে-

সেইরাতে সমুদ্রের সফেদ ফেনার মতো একখানা হাত
মৃত্যুর গভীর থেকে তুলে এনেছিলো এক শস্যার্দ্র জন্ম,
সেইরাতে, সেইরাতে-সূর্যহীন জোস্নাহীন সেই অন্ধকারে
আমাদের প্রতিজ্ঞারা মেঘের মুখোশ ছিঁড়ে নক্ষত্রের দিকে
উঠে গিয়েছিল এক ফেনিল প্রত্যাশায়।

০৫.০৭.৭৬ মিঠেখালি, মোংলা।