অবকাশে নিহত চিঠির শখ

এইত খুলে দিয়েছি জানালাটা
সবেমাত্র। নীরবেই
তাকিয়েছিলেম অনেক্ষন ইথারের
স্বচ্ছ আবরণ ভেদ করে।
সম্মুখে খোলা বই বিজ্ঞানের, যার
নিরর্থক অর্থ চিরদিনই
দুর্বোধ্য রয়ে গেলো আমার কাছে।

খোলা খাতা। একটু
বাতাসেই পাতাটা উড়ছে এপাশ ওপাশ।
তোমারই কয়েকখানা নিহত চিঠির ধ্বংসাবশেষ এখনো
কেন জানি রয়েই গেছে।

যদিও তুমি আজ চলে গেছে দগ্ধতার
অস্পষ্টতায় অনর্থক।

এইতো রঙিন বৃষ্টি- ঝরছে ঘুমন্ত শহরে
হয়ত সবাই এখন ঘুমিয়ে।
অথবা এমনি কেউ কেউ দক্ষিনা মেঘ
উদ্দেশ্যহীন বাতাসে।
তোমার কান্নার মতো বর্ষা ঝরে, কতোদিন
আমি দেখি না তোমাকে!
বুকের রক্তের উপর প্রতিফোঁটা বৃষ্টি
নরোম হাত রাখে সস্নেহে
যেমন তুমি রাখতে, তা কি আজো মনে পড়ে
কোনোদিন অবৈধ চাঁদের আলোয়?

বর্ষা ক্রমেই বাড়ে। আরো আরো-
তুমি কাঁদো কাঁদো। আমি একবুক অশ্রু চাই
তুমি কাঁদো আরো গম্ভীর হয়ে।

জানালা কি এখনো খোলাই রয়েছে
অসম্ভব অভিজ্ঞ বর্ষার ফোঁটা
নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এসে কখন ভিজিয়ে গেছে
আমার অনেক অজান্তে

তোমারই নিহত চিঠির শবগুলো।