অচেনার নিবিড় নিকটে

তোমাকে আমার দ্যাখা হ’য়ে গ্যাছে
আজও চিনিনি তুমি-

এইখানে এসে দাঁড়িয়েছি থেমে
অর্ধেক চোখে রয়েছি তাকিয়ে,
বুঝিনি সকল কথার নিবিড়ে
আরো কিছু কথা মেলেছিলো দেহ
কুয়াশার গাঢ় স্নেহে।

মেঘলা দুচোখে জেগেছে জোস্না
বাতাস ভেঙ্গেছে নির্জনতার
মৌন খেয়ালি নিরিবিলি ঘর
অথবা বাতাস খুলিতেছে চুল
বাতাসের দেহে, ভীরুতার হাত
ছুঁয়েছে কোথায়, কোথায় সে তার
দুয়ার খুলেছে অচেনা পথের কাছে!

জামার বোতাম রেখেছি তো খুলে
বিন্যাসহীন বাউল শরীরে
নন্দিত পাপ, দারুন আগুনে
অলক্ষ্যে তার পুড়িয়ে যাওয়ায়
দেখেছি তোমাকে- চিনিনি তুমি!

বোধের সকালে ছড়াচ্ছে রোদ
শালিকের পাখা ব’য়ে আনা স্মৃতি ঠোঁটের ভাঁজে
দূর দূরান্ত খেলা কোরে যাওয়া
শুধু দূরে যাওয়া নিবিড় নিকটে

চতুর্দিকে রয়েছো দাঁড়িয়ে ঘিরে
বোধন থেকে বোধের উৎসে প্রতীক্ষাময়
তবুও চিনিনি তুমি!

(১১২ ক্রিসেন্ট রোড, কাঁঠালবাগান)