অশোভন তনু

তবে কি শরীরে কোনো অন্যায় ছিলো
অন্তসত্ত্বার লজ্জার মতো ফুটে ওঠা স্ফীত উদোর
কোনো পোশাক যাকে ঢাকতে পারেনি!
জন্মের পুর্বাভাসে বেড়ে ওঠা সেই অশোভন সত্য
কোথাও কি মাখা ছিলো অবয়বে, দেহে।

তবে কি শরীরে ছিলো কোনো উদ্ধত অশোভন
কোনো অপঘাত, প্রত্যাখ্যানে পুষ্ট কোনো মৃত্যুর স্মৃতি
তাজা কিছু ধ্বংশের ক্ষতচিহ্ন
কোনো প্রসাধন যাকে আগলে রাখতে পারেনি!
অন্তরাল ছিন্ন কোরে জেগে ওঠা সেই ভয়ানক ক্ষতি
কোথাও কি পষ্ট হযে উঠেছিলো ললাটে, মুখে?

গৃহ ডাকে না-
মানুষ গুটিয়ে নেয় তার সবগুলো ডাকার হাত।
শিকড় বিশ্বাসী মানুষ এতোটা তরু-ঘাতক হতে পারে
এতোটা হিংস্র হাত ছিঁড়ে নিতে পারে মমতার সকল লতা!

মানুষ কি পাখি, পাখায় লেখা এক যাযাবর পথ?

সংসার রচনায় তবে ফুলের এতো উপেক্ষা কেন
এ-বুকে আগুন দেখে মানুষের এতো ভয় কেন!
তবে কি তনুতে আমার কোনো ধংশের ক্ষতচিহ্ন ছিলো?
তবে কি চোখে মুখে আমার ভিন্ন কোনো পূর্বাভাস ছিলো?

০৭.০৪.৭৬ মিঠেখালি, মোংলা।