পলাতকা শুভ্র আংগুল

পশ্চাতে প্রিয় নামে ডেকে ওঠে কাদের কণ্ঠস্বর!
যেন স্মৃতির ভেতর থেকে উঠে আসছে সারি সারি
রূপশালি কেয়াফুল, শস্যের শিষ নুয়ে পড়া ফসলের ভারে,
যেন দুধখই খেজুর পাটালি হাতে ডেকে ফেরে মায়ের দুচোখ-
কারা ডাকে, পশ্চাতে প্রিয় নাম ধ’রে ডেকে ওঠে কাদের ব্যাকুল কণ্ঠ!

যে পথে পদচিহ্ন রেখে যাই সকাল বিকেল
হাওয়ার মোহনায় এসে দুহাতে বাতাস সরিয়ে
যে পথে ফিরি শোভন সম্রাট
সে পথে দুঃসাহসও কোনোদিন একাকী যায়নি হেঁটে।

পেছনে ডেকে ওঠে স্বজন শেফালিকা শুভ্র আংগুল
ব্যথিত বিদায়ের মেঘ ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা রোদের মতো
প্রতিবেশী পলাতক পাখি পুনর্বার পরাজয় পাড়ি দিয়ে যাবে,
সকলেই কোথাও যাবে- কোনো পিছু ডাক থাকবে না?
মৃদু করছোঁয়া রেখে কাঁধে কারো চোখ হবে না
অমংগল যাত্রার জলময় নিষেধ?
কোনো পিছু ডাক থাকবে না!

ফসলের উৎসব শেষে ফুরাবে ইঁদুরের গৃহের সঞ্চয়
কুকুরের কান্নায় মুখরিত হবে জীবনের দীর্ঘতম রাত।
জিরেন রসের পাত্রে জমা থোকা থোকা ফেনার শাদায়
ভেসে থাকবে একাধিক মাছির মৃতদেহ,
ধানের স্মৃতি বুকে নিয়ে পড়ে থাকবে খড়কুটো দূরের প্রাংগন

প্রিয়নাম ধ’রে কোনো পিছু ডাক থাকবে না, কোনো পিছু ডাক থাকবে না। …