রঙ্গিন এ্যালবামে

ক’একটি ডালিমের গুলিবিদ্ধ ফুলে
একঝাঁক ভ্রমরের রিলিপ কপ্টার
ত্রান সামগ্রী বয়ে মানবতার কুলে
রেখে গেল অহেতুক বিবর্ণ বালুচর।
তোমাকে রাখা যায় রতি সম্পদ
তোমাকে সাজানো যায় সরল সুন্দর
তোমাকে ভুলে যাওয়াই শুধু বিপদ
অথবা আলিঙ্গন করা খোলা প্রান্তর।

তোমাকে রাখা যায় মায়ের নক্সীকাঁথায়
তোমাকে রাখা যায় প্রিয়ার ফুল তোলা রুমালে
তোমাকে রাখা যায় মুন্সির তাবিজে গলায়
তোমাকে রাখা যায় হিজল জ্যোৎস্না তলে।

তোমাকে দেখা যায় স্নোর ভাঙ্গা কৌটায়।
বাঁশখুটির সরু গর্তে অথবা পানদানীতে,
আহা কোথায় তোমাকে রাখি কিসের ছায়ায়!
কালো চোখ জল হয়ে যাক যেতে যেতে-
শুধু কিছুক্ষন অক্লান্ত আক্ষেপেই
চারিদিকে ভবিষ্যতের ধানগুলো ছাড়াই।

কালো কাকের পাখার মত মৃত্যু এলো,
ঢেকে দিল নগর শহর গ্রাম জনপদ।
মৃত্যু এলো শবমিছিলের অগ্রভাগে,
পথের মাঝে- গভীর ঘুমে সন্ধ্যাকালে।

তবুও আমি বেঁচে আছি,
আমার বুকের তপ্ত নিশ্বাস
আজো ঝরে; সবুজ ঘাসে
মাঠের বুকে, গারে শাখায়।
আমার লেখার অগ্নিবুলেট
বিদ্ধ করে শক্রর বুক,
নিপাত করে পশুর মাথা।

বীভৎসতার উল্লাস নিয়ে
আজো আমি বেঁচে আছি- বেঁচে আছি
ধোঁয়ায় ঢাকা এই ধরাতে।
বুলেট হয়ে খুন করেছি
শকুন হয়ে মাংশ খেয়েছি,
শিয়াল হয়ে হাড় চুষেছি,
আবার এখন শান্ত মনে কম নিয়েই বসেছি।
কালো ধোঁয়া- কালো ধোঁয়া-
আর কখনও মানুষ ও নয়
পশুও নয়- ঘাসের বুকে শিশির হয়ে
জন্ম নেব, ধোঁয়ার দেশে,
মায়ের বুকের দুগ্ধ হয়ে
শিশুর মুখে আনব হাসি।

কালো ধোঁয়া- কালো ধোঁয়া-
এখন আমি শীতল বাতাস
নদীর জলে মাঠ মাঠে।