ওই আঁটসাট ছোটো জামাটা
আমার গায়ে পরাবার চেষ্টা করো না।
আমাকে থাকতে দাও ঢিলেঢালা,
আমাকে খোলামেলা থাকতে দাও।
সমুদ্র থেকে উঠে আসছে যে নদী
পাখির মতো ডানা মেলে,
আমাকে সে নদীর মতো থাকতে দাও অফুরন্ত,
স্রোতের মতো প্রানবান হতে দাও আমাকে।
চার দেয়ালের ভেতর আমি ছিলাম
আমি ওই বদ্ধ জলাশয়েও ছিলাম
আমি ছিলাম কবরের সুপ্রাচীন অন্ধকারে,
গতিহীনতার কারাগার আমাকে টুকরো টুকরো কোরে ছিঁড়েছে-
ফিরতে বোলো না।
আমাকে থাকতে দাও স্রোতময় জলের মতোন
আমাকে থাকতে দাও পতনে উত্থানে-
ওই আঁটসাট জামাটা আমাকে পরতে বোলো না।
সংকীর্ন আস্তিনে আমার বাহুদুটি আটকা প’ড়ে যায়,
আমি পাখা মেলতে পারি না। আমি নিশ্বাস নিতে পারি না।
আমার বুক চেপে রাখে ওই শার্টের সংকীর্নতা।
ঠিক যেমন একজোড়া বুটের নিচে দীর্ঘকাল
চাপা প’ড়ে আছে আমাদের কাংখিত জীবন,
ঠিক যেমন রাইফেলের ডগায় গাঁথা বেয়োনেট
এফোঁড় ওফোঁড় কোরে দিচ্ছে আমাদের স্বপ্ন-
আমি নিশ্বাস নিতে পারি না। আমি স্বপ্ন দেখতে পারি না
তুই ওই আঁটসাট জামার শৃংখল আমাকে পরাতে চেয়ো না।
০১.০৯.৮৬ রাজাবাজার, ঢাকা