স্বরচিত চন্দ্ৰশহর

তুমি যাকে ভাঙ ভেবে ভেতরে ভেতরে দারুন কেঁপে উঠেছিলে
সে আমার সৃষ্টির কাছে আমাকে সঁপে দেয়া প্রথম সমর্পন
ভেঙে ভেঙে বেড়ে ওঠা স্বরচিত গৃহের বিন্যাস, বিপরীত উন্নতি।
অভ্যন্তরে তাকালেই তুমি আমার পুননির্মান দেখতে পাবে-

ধারনের অক্ষমতায় একদিন সরে যেতে যেতে ব্যবধানের দুই প্রান্তে
দুজনের অনিচ্ছাকৃত থেমে থাকার মাঝে জেগে উঠবে দূরত্বের
নতুন চরাভূমি
একদিকে একটি ভাঙনের গৃহ অন্যদিকে দ্বিধাগ্রস্ত তোমরা দুজন।

এইভাবে যেতে যেতে তুমি দূরের জানালা থেকে কখন তাকাবে
নীল অভিমান জ্বেলে একাকী আলোর মতোন
সরাবে আধারের নরোম কুয়াশা
আমি তাই দেখে দেখে ভেঙে যাবো দ্বিধার কার্নিশ।

নিদ্রার সম্মোহন ফিরে গেলে তুমি খুলবে পোষাক
স্নানঘরে জলের শব্দ হবে। ভেজা চুলে খেলবে এক
বাতাসের দারুন কিশোরী।

আয়নায় দাঁড়ালেই দেখবে দুদিকের ছায়া
ভালোবাসা ঘামের মতো লেগে আছে সমস্ত শরীরে,
আমি তাই দেখে দেখে স্বরচিত ভাঙনের গৃহে
ধীরে ধীরে বেড়ে যাবো চন্দ্ৰশহর
তাকালেই তুমি আমার পুননির্মান দেখতে পাবে।