তছনছ বিশ্বামিত্র

ধ্যান ভেঙে গিয়েছে আমার-
নিমগ্ন ভেঙে গেছে খান খান আরশিমহল।
কে তুমি দাঁড়ালে এসে মানব মেনকা?
ছিঁড়ে গেলো নিমগ্ন সেতার,
তৃষ্ণা বাড়ালো দু’হাত শোনিতের নিভৃত শিকড়ে
জ্বলে উঠলো আগুন
ধারালো বর্ধিষ্ণু এক কোমল আগুন।

কে তুমি দাঁড়ালে এসে মানব-পিপাসা?
এক পশলায় ঝ’রে গেলো
দীর্ঘতম সঞ্চয়ের সবটুকু মেঘ,
তৃষ্ণার্ত লালায় ধুয়ে গেলো চন্দনলিক,
শুকনো ঠোঁটের মাটি ভিজে গেলো
বৈশাখের প্রথম বৃষ্টিতে।

অসতর্ক লাঙলের ফলা ছিন্নভিন্ন কোরে দিলো
চাষযোগ্য সবটুকু জমি, জমির গভীর।
নিশব্দ তাণ্ডবে তছনছ হলো ত্বক,
ফুলের পাপড়িগুলো ঝ’রে ঝ’রে পড়লো মাটিতে।
নিভৃত গর্জনে ফুলে উঠলো সমুদ্র যেন,
অবিরাম ঢেউএর ঝাপটায় টলোমলো উপকূল,
লুটিয়ে পড়লো পাণ্ড কোমল বসতি।

আর তুমি ঝড় শেষে ফিরে গেলে অচেনা কোথাও-
ধ্যানভ্রষ্ট বিশ্বামিত্র তছনছ নিজের আগুনে
একাকি পুড়ছি আমি এক দ্বৈত অনুশোচনায়।।