আমি

আমি ইসলাম, আমিই কাফের,
আমিই ঘোরাই চন্দ্রতারা।
গগনললাটে মেঘের অলক
আমিই বরষা বৃষ্টি-ধারা!
আমিই তড়িত-তন্তু-বিথার,
আমিই বিকট বজ্র-শিখা,
কালকূটে ভরা আমি ভুজঙ্গ,-
রঙ্গে পরাই মৃত্যু-টিকা।
অস্থি-চৰ্ম্মে গ’ড়ে উঠি আমি
রক্তে মাংসে রহি গো জীয়ে,
অনাদি জ্ঞানের হিন্দোলে দুলি
অনাদি প্রেমের পীযূষ পিয়ে!
ঋতু বসন্তে মর্ত্তে যে আনে,-
হৃদি-মন্দিরে নিবসে যেই,
সম্মত হয় সন্তান হ’তে,-
কিঙ্কর হ’তে আমিই সেই!
মেঘ হ’য়ে যাহা উর্দ্ধে উঠিছে
জল হয়ে যাহা নামিছে নীচে
– আমি সেই- যাহা অন্ধজনের
নাচিছে চোখের সমুখে পিছে!
বিনা ইন্ধনে যে আগুন জ্বলে,-
চকমকি’ উঠে চকমকিতে,-
আমি সেই!- আমি অনেকের প্রভু,-
সেবা করি তবু পুলক চিতে।
কে আছ ব্যথিত চিন্তা মথিত
এস, আমি দিব জুড়াতে ঠাই,
নয়ন-নগরে পরাণের ঘরে
বাহিরের গোল কিছুই নাই!
এত কথা যুনা জানেনা জানেনা,
অনাদি রসনা বলায় তারে;
আদি ও অন্ত একাধারে আমি,
মূঢ় সে যেজন বুঝিতে নারে।

য়ুনাস।