বিচারক

পরের পরাণ মনের মাঝারে যত তোলাপাড়া হয়,
তা’র সনে যদি তোমার হিয়ার নাহি থাকে পরিচয়,
আচরণ তা’র বিচার করিতে যেয়ো না যেয়ো না তবে,
তুমি যাহা ভাব’ কলঙ্ক, তাহা অস্ত্রের লেখা হবে;
হয় ত’ সে রণে তুমি হেরে যেতে; সে তবু হয়েছে
ক্ষতের চিহ্ণ বহিছে এখন ক্ষতের যাতনা সহি’।
তা’র যতখানি তোমার নয়ন অপ্রিয় বলি’ মানে,
হয় ত’ তাহার চরিত্র-বল বিকশিত সেইখানে;
হয় ত’ সে কোনো রিপুর সঙ্গে জীবন মরণ রণ,
যা’র স্মৃতি আজো হৃদে জাগরূক রয়েছে অনুক্ষণ;-
যে রিপুর সাথে যুঝতে হয় ত’ তুমি হ’তে অধোমুখ,
অধরে মিশাত আজিকার ওই বিদ্রূপ হাসিটুক্।

যে ত্রুটির তরে তুমি কর ঘৃণা হয় ত’ সে কিছু নয়,
হয় ত’ দেবতা নিয়েছেন তা’র শক্তির পরিচয়;-
কঠিন মাটিতে পড়িয়া, আবার যাহে সে ভবিষ্যতে
পায়ে উঠিবারে আপনার বলে,- চলিবারে দৃঢ়পদে;
কিবা অন্তরে তুচ্ছ জানিয়া ধরণীর ধনমানে,
উড়ে যেতে যাহে মন চাহে তা’র আকাশের নীড় পানে।
“একেবারে গেছে,- “নষ্ট হ’রেছে” এমন ভেবনা মনে,
রাখো আশা রাখো ভালবাসা, ঘৃণা কোরো না পতিত জনে;
তা’র পতনের গভীরতা তা’র শোচনার পরিমাপ,
পতন যতই গভীর ততই উচ্চ সে পরিতাপ;
যত নীচে পড়ে গিয়েছে অভাগা, হরত’ সে পুনরায়,
হ’বে উন্নীত তেমনি উচ্চে বিধাতার মহিমায়।

আ্যাডেলেড্ অ্যান্ প্রোক্টার।