বিকর্ণ কি ঘণ্টাকর্ণ

কে করেছে ঠাট্টা তোমায় দিয়ে কবির তক্ত?
বিকর্ণ কি ঘণ্টাকর্ণ চেনা তোমায় শক্ত!
বাংলা ভাষার ওজন তুমি বোঝ তো ছাই ঘণ্টা,
মিথ্যে কেন মাথা বকাও গরম কর মনটা?
রবি-রথের ঘোড়ার খুরেও জন্মে যে-সব ছন্দ
নাই ক্ষমতা বুঝতে তোমার, তাই করো গাল মন্দ।
ব্যাকরণের চচ্চড়িতে বুদ্ধি-জাতা পণ্ডা,
উদ্ভুটে শ্লোক বানাও নীরস সাত বুড়ি সাত গণ্ডা।
সংস্কৃতের গণ্ডোপরি বিরাজ কর বিস্ফোটক,
বাংলা ভাষার কেউ তুমি নও, হংস সারস কিম্বা বক।
ভাব-সাধনার ধার ধারো না, ঠাট্টা জান বৃদ্ধ হে!
ধ্যান-রসিকের তপোবনে নাড়্ছ গ্রীবা গৃধ্র হে!
শাস্ত্র পুঁথি ফুঁড়ে ফুঁড়ে কর্লে শুধু কীটপনা,
কথার আঁচে টের পেয়েছি পাওনি সুধা এক কণা।
একটা কথা একশো-বারি বুঝিয়ে কত বল্ব?
অবোধ মোষের ঘাড় নোয়াতে কত বা ঘি ডল্ব?
চতুমুর্খের মুখ ব্যথা হয় ঢেঁকির সঙ্গে তর্কে,
এক মুখে কি বলব আমি বলদ ধুরন্ধরকে!
নিমেষে কেউ বোঝে, আবার কেউ বা বছর চল্লিশে,
তারও দ্বিগুণ কাট্ল বয়েস, আর বোধোদয় হয় কিসে?