আহা নিমেষের যৌবন-সুখ
ফিরে কর মোরে দান,
বালকের মত হাসি আরবার,
চাহিনা বুড়ার মান।
দূর হ’ কালের লুণ্ঠিত ধন,
যশের মুকুট নাও,
যায় ছিঁড়ে যাক্ জ্ঞানের লিখন,
জয় ধ্বজা ভেঙে দাও।
শিরায় শিরায় অনল-উৎস
কৈশোর এসে ফিরে,
দিক্ ভালবাসা, কীর্ত্তির আশা
মদির স্বপনে ঘিরে।
শুনিল দেবতা প্রার্থনা মম
হাসিয়া কহিল ধীরে,
“এখনি তোমার কামনা পূরিবে,-
যদি হাত রাখি শিরে।
“কিন্তু ভাবিয়া দেখ দেখি, এর
রাখিতে চাহ কি কিছু?
কামনা তোমার পূরাতে সময়
এখনি হটিবে পিছু!”
আহা প্রাণাধিকা পত্নীরে ছেড়ে
কে বল বাঁচিতে পারে?-
পারিনা ছাড়িতে প্রিয়ারে আমার,
রাখিতে দিবে কি তা’রে?
লইল দেবতা স্বর্ণ লেখনী,-
ডুবাইয়া জোছনাতে,-
লিখিল- ‘বালক হইবে আবার
পতি হ’বে তারি সাথে!’
“নাহি তবে আর প্রার্থিত কিছু?-
এখনি বালক হ’বে,
বয়সের সাথে যা কিছু পেয়েছ,-
মনে রেখ, সব যা’বে।”
রহ দেখি,- আহা! কত আনন্দ
জনক-জীবনে, মরি,
পুত্ত্র, দুহিতা,- তাহাদের হায়,
তেয়াগ কেমনে করি?
ফেলিয়া লেখনী মধুর হাসিয়া
দেবতা কহিল “হায়,
বালক হইয়া পিতা হ’তে চাও!
বলিহারি কামনায়!”
আমি হাসিলাম,- ভাঙিল স্বপ্ন
হাসির আবেগ-ভরে,
লিখিনু কাহিনী তরুণ-পরাণ
প্রবীণ জনের তরে।
অলিভার্ ওয়েণ্ডেল্ হোম্স্